প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ফের সংলাপে বসতে যাচ্ছে বিএনপি। দ্বিতীয় দফার এ সংলাপ শুরু হবে আগামী ২ অক্টোবর। প্রথম দিন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বাধীন কল্যাণ পার্টির সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে প্রথম দফায় সংলাপ হওয়া প্রতিটি দলের সঙ্গে পুনরায় আলোচনায় বসবে দলটি।'
'দ্বিতীয় দফার সংলাপের এজেন্ডা কী হবে? এ প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ২৪খবরবিডিকে বলেন, আন্দোলন কীসের ভিত্তিতে হবে, সেটা তো সংলাপে তুলে ধরতে হবে। আন্দোলনের বিষয়বস্তু জনগণকেও জানাতে হবে। সেসব বিষয় নিয়ে এবারের সংলাপে আলোচনা হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা এ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন করছি। সেটা আর যেসব দল চায়, তাদের সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা করতে হবে। তারপর যুগপৎ আন্দোলন হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন,
২ অক্টোবর বিএনপির ২য় দফার সংলাপ শুরু , থাকছে ৩ এজেন্ডা
এবারের আলোচনায় মোটা-দাগে তিনটা এজেন্ডা থাকবে। সেগুলো হলো, নিরপেক্ষ সরকার, রাষ্ট্রের গুণগত পরিবর্তন ও খালেদা জিয়ার মুক্তি। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় গুণগত কী কী পরিবর্তন আনবে সেটা যদি অন্য দলগুলোর সামনে তুলে ধরা না যায় তাহলে কোনো সংলাপ বা ঐক্যই কাজে আসবে না। অতীতে এ ধরনের সংলাপ বা ঐক্য হয়েছে কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তাই আগে পরস্পরের প্রতি আস্থাশীল হতে হবে। বিএনপিকে নিশ্চয়তা দিতে হবে, আমরা আগে যে ভুল করেছিলাম, সেগুলো আগামীতে হবে না। এবার আমরা ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রের বিচার, সংসদ সচিবালয়, প্রশাসনসহ বিভিন্ন সেক্টরে গুণগত পরিবর্তন আনব।
'বিএনপিকে নিশ্চয়তা দিতে হবে, আমরা আগে যে ভুল করেছিলাম, সেগুলো আগামীতে হবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি নেতা বলেন সংলাপে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ২৪খবরবিডিকে বলেন, সংলাপে কী কী বিষয়ে আলোচনা হবে আমাদের পক্ষ থেকে সেটি এখনও ঠিক করা হয়নি। দলের বৈঠক করে তা ঠিক করা হবে। সরকার-বিরোধী বৃহত্তর যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এ বছরের ২৪ মে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে বিএনপি। প্রথম দফার ওই সংলাপে ২৩টি দল অংশ নেয়। এর মধ্যে ছিল জেএসডি, গণফোরামের একাংশ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ইসলামী ঐক্যজোট, কল্যাণ পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), লেবার পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), জাতীয় দল, মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, সাম্যবাদী দল, ডেমোক্রেটিক দল (ডিএল), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), ইসলামিক পার্টি, পিপলস লীগ, ন্যাপ-ভাসানী ও বাংলাদেশ ন্যাপ।'